কক্সবাংলা ডটকম(৮ মে) :: আটচল্লিশ ঘন্টায় যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় কোন বাংলাদেশির মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। টানা ৪৯ দিন নিউইয়র্কে মৃত্যুর মিছিলে ২১৮ জন অন্য পাঁচটি রাজ্যে ২০ জনের মৃত্যু নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে করোনার করাল গ্রাসে মোট ২৩৮ জন বাংলাদেশির প্রাণহানীর ঘটনায় বাংলাদেশিদের মধ্যে যে মৃত্যু আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছিল তা এখন কিছুটা প্রশমিত হয়েছে।
তবে নিউইয়র্কসহ কয়েকটি রাজ্যের হাসপাতালগুলোতে করোনায় আক্রান্ত হাজারেরও বেশি বাংলাদেশি চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এদের মধ্যে বিরাট একটি অংশ বয়োবৃদ্ধ এবং তাদের কেউ কেউ ভেন্টিলেশনে রয়েছেন। আর এদের নিয়েই তাদের পরিবার রয়েছে উৎকণ্ঠায়। কারণ এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে যে, নিউইয়র্কে করোনায় আক্রান্ত ২০ শতাংশ রোগী ভেন্টিলেশনে রয়েছেন এবং ভেন্টিলেশনে থাকা রোগীদের মধ্যে ৮২ শতাংশের মৃত্যুর আশঙ্কা থাকে ।
করোনায় আক্রান্ত হয়ে ভেন্টিলেশনে গিয়েই অনেক বাংলাদেশি মারা গেছেন । আবার শুরুর দিকে নিউইয়র্কে ভেন্টিলেটরের প্রকট সংকট ছিলো যখন, তখন ভেন্টিলেটরের অভাবে কুইন্স হসপিটালে তামিনা ইসলাম খান তমা নামে এক বাংলাদেশি মারা গেছেন।
এদিকে নিউইয়র্কের গভর্নর এন্ড্রু কুমো বুধবার তার করোনাভাইরাস নিয়ে নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে জানিয়েছেন যে নতুন করে হাসপাতালে যারা ভর্তি তাদের মধ্যে ৬৬ শতাংশই লকডাউনের শর্ত মেনে ঘরেই ছিলেন। এদের বয়স ষাটোর্ধ এবং এরা কোন পাবলিক ট্রান্সপোর্ট এমনকি নিজেদের গাড়িতে করেও কোথাও যাননি-তারপরেও তারা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এই তথ্য সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। তাদের কথা ঘরে থেকে কিভাবে এরা আক্রান্ত হলেন?
অনুসন্ধানে জানা গেছে কোন পরিবারের যে কোন একজন লকডাউনের সময় কোন না কোন কারণে ঘরের বাইরে যাতায়াত করেছেন তার থেকেই হয়তো ঘরের বয়স্করা আক্রান্ত হয়েছেন।
৫২ দিন শেষে নিউইয়র্কে মোট ২১৮ জন, নিউজার্সী ৮, মিশিগান ৬, ভার্জিনিয়া ৩, মেরিল্যান্ড ২ ও ম্যাসাচুয়েটস রাজ্যে ১ জন বাংলাদেশি মারা গেছেন করোনায় আক্রান্ত হয়ে।
Posted ১২:৪৩ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ০৮ মে ২০২০
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta