কক্সবাংলা ডটকম(১ জুন) :: বর্তমান দিনে হার্ট অ্যাটাক যেন কোন বয়স মানে না। বয়স বাড়ার সাথে সাথে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি তৈরি হয় । এছাড়াও অনিয়মিত খাদ্যাভাস, মানসিক চাপ , ধূমপান প্রভৃতি বিষয় গুলি হৃদ রোগের আশঙ্কা অনেকাংশে বাড়িয়ে দেয়। শুধু বয়সের কারণে নয় , এর আগেও দেখা গিয়েছে অত্যাধিক শরীরচর্চার কারণে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন অনেকেই । তবে নিয়মিত জিম করার পাশাপাশি সঠিক খাদ্যাভ্যাস মেনে চলতে হবে । এক্ষেত্রে সর্বদা বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী চললে হৃদ রোগের আশঙ্কা থেকে অনেকাংশে বাঁচা যায়। আবার অনেকের ক্ষেত্রে হৃদরোগের অন্যতম কারণ হলো জেনেটিক। আবার অনেকের ফ্যামিলিগত ভাবে হৃদরোগের কোন হিস্টরি না থাকলেও হৃদরোগের আশঙ্কা দেখা গিয়েছে।
কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট বলতে বোঝায় যখন হৃদস্পন্দন হঠাৎ বৃদ্ধি পায় কিংবা ভীষণভাবে ধীর গতিতে চলে তখন। এই পরিস্থিতিকে বলা হয় ভেন্ট্রিকিউরলার ট্যাকিকার্ডিয়া কিংবা ভেন্ট্রিকিউলার ফাইব্রিলেশন। তবে হার্ট অ্যাটাক, কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট আর হার্ট ফেলিওর এই তিনটি একসাথে গুলিয়ে ফেলবেন না। অনেক রোগীর পরিবার দেখা গিয়েছে এই তিনটি বিষয়কে একসাথে গুলিয়ে ফেলে ভুল সিদ্ধান্ত নেন। যদি কোন কারণে করোনারি আর্টারি কাজ করা বন্ধ করে দেয় তাহলে হৃদপিন্ডে রক্ত পৌঁছায় না ।
তখন রক্ত জমাট বেঁধে হার্ট অ্যাটাক হতে পারে। রক্ত পৌঁছানো বন্ধ হয়ে যাওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই তখন অক্সিজেন পৌঁছায় না যার কারণে সেই স্থানের কোষগুলি অত্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অপরদিকে অ্যারিথমিয়ার কারণে হৃদস্পন্দন ঠিকঠাক ভাবে কাজ করে না এবং বন্ধ হয়ে যায় যাকে বলা হয় কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট।মূলত যারা নিয়মিত ধূমপান করেন, মদ্যপান করেন, ওবিসিটি রয়েছে, উচ্চ রক্তচাপ কিংবা কোলেস্টেরলের সমস্যায় ভুগছেন, টাইপ টু ডায়াবেটিস রয়েছে, হরমোন জনিত নানান সমস্যা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের আশঙ্কা থাকে।
এই বিষয়ে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে। যদি দেখেন হঠাৎ করে অস্বাভাবিক ঘাম হচ্ছে, বুকে চাপ চাপ অনুভূতি হচ্ছে, মাঝরাতে ঘুম ভেঙে গেলে আর সহজে ঘুম আসতে চায় না, কিংবা ঘুম থেকে ওঠার পর মানসিক প্রশান্তির বদলে শরীরে অস্বস্তি অনুভব করছেন তাহলে অবশ্যই দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন। পাশাপাশি শ্বাস নিতে সমস্যা, সব সময় ক্লান্ত লাগার অনুভূতি, বুক ধড়ফড় এগুলিও হার্ট অ্যাটাকের আগাম উপসর্গ।
হার্ট অ্যাটাক কিংবা কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট থেকে বাঁচতে একটু বিশেষভাবে খাদ্যাভ্যাসের দিকে খেয়াল রাখুন। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে দিনের কিছুটা সময় শরীরচর্চায় ব্যস্ত থাকুন। কোলেস্টেরলের সমস্যা থাকলে মাছের ডিম, মেটে, ডিমের কুসুম এগুলি একটু এড়িয়ে চলুন। যদি অতিরিক্ত মদ্যপান বা ধূমপানের অভ্যাস থাকে তাহলে হার্ট সুস্থ রাখতে এইগুলি আপনাকে ছাড়তেই হবে। অত্যাধিক পরিমাণে মধু ,মিষ্টি ,চিনি জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলতে হবে।
Posted ১১:৩৩ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০২ জুন ২০২২
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta