কক্সবাংলা ডটকম(৯ জুন) :: উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার পর একটা মানসম্পন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার স্বপ্ন দেখেন সব শিক্ষার্থীই। দেশের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় লক্ষাধিক পরীক্ষার্থীর মধ্য থেকে সীমিতসংখ্যকই সেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ করে নেন। তাই কেবল ইচ্ছে থাকলেই ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার স্বপ্ন পূরণ হয় না। চাই প্রস্তুতি। ভালো প্রস্তুতি ও প্রচেষ্টা থাকলেই কেবল ভর্তি পরীক্ষায় জয়ী হয়ে সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া সম্ভব। এজন্য যা যা প্রয়োজন তা হলো—
উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে সবার আগে গুরুত্ব দিতে হচ্ছে নিজের পছন্দ ও আগ্রহের বিষয়গুলোকে। যাতে পরবর্তী সময়ে ভালো ক্যারিয়ার গঠন সহজ হয়। পছন্দের বিষয় ঠিক করার পর দেখতে হবে, কোন কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে সে বিষয়ে পড়ার সুযোগ রয়েছে ও সেখানকার মান কেমন। আবার নির্দিষ্ট একটি বিষয়ই মাথায় রাখা যাবে না। কারণ এমনও হতে পারে ভাগ্য সুপ্রসন্ন না হলে ওই বিষয়ে পড়ার সুযোগ হাতছাড়া হতে পারে। হাতে কয়েকটা বিকল্প রাখাই ভালো।
এবার পছন্দের বিষয় ঠিক করার পর কীভাবে পড়াশোনা হবে, কীভাবে প্রস্তুতি শেষ হবে, কোন কোন বিষয় পড়তে হবে ইত্যাদি বিষয়ের পরিকল্পনা করতে হবে। ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ধরে কয়েক মাসের জন্য পড়ার একটা রুটিন তৈরি করে ফেলতে হবে। এ রুটিন ধারাবাহিকভাবে মেনে পড়া শেষ করে নিতে হবে।
পাবলিক বা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় যা-ই বলা হোক না কেন, সব বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার কাঠামো সমান নয়। একেক বিশ্ববিদ্যালয়ের একেক ধরনের সিলেবাস থাকে। তাই ভিন্ন ভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সিলেবাস, মানবণ্টন, পরীক্ষার সময় ইত্যাদি বিষয়ের সবটাই আগে থেকে জেনে বুঝে নিতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি নেয়ার ক্ষেত্রে বিগত বছরের প্রশ্ন সমাধান করলে ভালো ধারণা পাওয়া যায়। তবে পড়ার ক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে, প্রত্যেকেরই পড়া মনে রাখার নিজস্ব কৌশল রয়েছে। কোচিং বা প্রাইভেট টিউটরের শিখিয়ে দেয়া উপায়ে পড়া মনে রাখার কৌশল মেনে না চলাই ভালো। কারণ পড়া মনে রাখার বিষয়টা একান্তই নিজস্ব বিষয়।
বর্তমানে ইন্টারনেট সহজলভ্য হওয়ায় পড়াশোনাও অনেকটাই সহজ হয়ে গেছে। ভর্তি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নেয়ার সময় বইয়ের পাশাপাশি ইন্টারনেটের সাহায্য নেয়া যেতে পারে। বইয়ে অনেক সময় যেকোনো টপিক সংক্ষিপ্ত করে দেয়া থাকে। এক্ষেত্রে ইন্টারনেটের সাহায্য নিয়ে ডিটেইলস পড়ে নেয়া যায়।
কোনো বিষয়ে সিলেবাস শেষ করলেই হলো না। বারবার রিভিশন দিয়ে পড়াটা একেবারে ঝালাই করে নিতে হবে। মনে রাখতে হবে, বেশি বেশি অনুশীলনের কোনো বিকল্প নেই।
সবশেষে একটা কথা মাথায় রাখতে হবে, তা হলো পরীক্ষার্থীর সংখ্যা। তাই নিজের ও প্রস্তুতির ওপর আস্থা রাখতে হবে। ভর্তি পরীক্ষাটা যেহেতু খুব বেশি প্রতিযোগিতামূলক, তাই দুয়েক জায়গায় ব্যর্থ হলে মনঃক্ষুণ্ন হওয়া যাবে না। পরের পরীক্ষার জন্য ফের প্রস্তুতি নিতে হবে।
Posted ৩:০১ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ১০ জুন ২০১৯
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta