কক্সবাংলা ডটকম(২২ মে) :: 1992 তে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশের সময়ে আকাশে উড়তে দেওয়া হয়নি ভারতীয় রকেটকে। ইসরোর রকেট জিএসএলভি-কে অনুমোদন দেয়নি আমেরিকা। এমনকি ভারতকে ইঞ্জিন টেকনোলজি দেওয়ার ক্ষেত্রেও বাধা দেওয়া হয় রাশিয়াকে। দু’দশক পরে সেই রকেটই আকাশে ওড়াবে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা।
বিশ্বের সবথেকে দামি আর্থ ইমেজিং স্যাটেলাইট মহাকাশে পাঠানোর জন্য যৌথ উদ্যোগে কাজ করবে নাসা ও ইসরো। যাতে দুই দেশের প্রায় ১৫০ কোটি টাকা ব্যয় হচ্ছে। ২০২১-এর মধ্যে নাসা ও ইসরোর সিন্থেটিক অ্যাপারচার রাডার মহাকাশে পাঠানো হবে সেই জিএসএলভি-র মাধ্যমেই।
দুই মহাকাশ গবে৷ণা সংস্থা তৈরি করছে ‘নিসার’ বা NASA-ISRO Synthetic Aperture Radar স্যাটেলাইট৷ গবেষকরা জানিয়েছেন, এটি হতে চলেছে এখনও পর্যন্ত মহাকাশে যাওয়া সবচেয়ে মূল্যবান স্যাটেলাইট। এই স্যাটেলাইটকে বাস্তবে রূপ দিতে কাজও শুরু করে দিয়েছেন ভারত ও আমেরিকার মহাকাশ গবেষকরা৷
জানা গিয়েছে, এই স্যাটেলাইটে রয়েছে দুটি ফ্রিকোয়েন্সি ব়্যাডার. একটি একটি এল-ব্যান্ড ২৪ সেন্টিমিটার ব়্যাডার ও অন্যটি এস-ব্যান্ড ১৩ সেন্টিমিটার ব়্যাডার৷ এল-ব্যান্ড ২৪ সেন্টিমিটার ব়্যাডারটি নির্মাণ করবে নাসা ও এস-ব্যান্ড ১৩ সেন্টিমিটার ব়্যাডার নির্মাণ করবে ইসরো৷ ২০২১-এ উৎক্ষেপণ করা হবে ভারত-মার্কিন যৌথ উদ্যোগে নির্মিত এই স্যাটেলাইট৷
যা উৎক্ষেপণ করতে ভারত ব্যবহার করবে Geo-synchronous Satellite Launch Vehicle (GSLV)৷ এই স্যাটেলাইট নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত নাসার এক বিজ্ঞানী জানিয়েছেন, স্যাটেলাইঠের দুটি ব়্যাডারের মাধ্যমে প্রত্যেক সপ্তাহে পৃথিবীর আলাদা আলাদা ছবি তোলা হবে৷ যা বাইরে থেকে পৃথিবীতে ঘটে চলা প্রতিটি ঘটনার উপরে নজর রাখা যাবে৷
Posted ৬:২৯ অপরাহ্ণ | সোমবার, ২২ মে ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta