কক্সবাংলা ডটকম(২৮ নভেম্বর) :: প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ক্ষমতাসীন হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব লাভের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে প্রায় দ্বিগুন সময় লাগছে। নাগরিকত্বের আবেদনপত্র যাচাই-বাছাই এবং চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হতে যেখানে সাধারণত পাঁচ মাস থেকে সর্বোচ্চ সাত মাস সময় লাগত সেখানে এখন এই সময় বৃদ্ধি পেয়ে সর্বনি¤œ দশ মাস থেকে আরো বেশি সময় লাগছে। তবে এতে করে নাগরিকত্বের জন্য আবেদনপত্রের সংখ্যা হ্রাস পায়নি। বিপুল সংখ্যক আবেদনপত্র জমা পড়ছে। এদিকে, গ্রীনকার্ড প্রাপ্তিতেও মারাত্মক কালক্ষেপণ হচ্ছে।
ইউএস সিটিজেনশীপ এন্ড ইমিগ্রেশন সার্ভিসেস (ইউএসসিআইএস)-এর উদ্ধৃতি দিয়ে একটি নাগরিক অধিকার সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আবেদনের সংখ্যা বৃদ্ধির ফলে নাগরিকত্ব প্রক্রিয়ায় ব্যাপক জটের সৃষ্টি হয়েছে। দেশ জুড়ে এখন ৭ লক্ষ ৮ হাজার ৬৩৮টি আবেদনপত্র বিবেচনার অপেক্ষায় জমা পড়ে রয়েছে। উদাহরণ হিসাবে বলা হয়েছে, লস এঞ্জেলেস কাউন্টিতে যেখানে ৫ মাস সময়েই নাগরিকত্ব প্রদান প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়ে যেত সেখানে এখন সময় লাগছে ১০ মাস।
নাগরিকত্ব প্রদানের পুরো প্রক্রিয়াকেও অনেক শ্রমসাপেক্ষ করে তোলা হয়েছে। ওবামা পরবর্তী সময়ে নেয়া নতুন নীতিতে আবেদনপত্র যাচাই-বাছাইকে অনেক জটিল করা হয়েছে। নাগরিকত্বের আবেদনপত্রে আগে যেখানে ১০ পৃষ্ঠায় সীমিত ছিল এখন তা বাড়িয়ে ২০ পৃষ্ঠা করা হয়েছে। এর ফলে এসব বিষয় বিবেচনা করতে সময় যেমন বেশি লাগছে জনবলও তেমনি বেশি লাগছে।
গত এক বছর সময়ে ১ লাখ ২৮ হাজার ৬৪৭ জন বৈধ অভিবাসী নাগরিকত্বের জন্য আবেদনপত্র জমা দিয়েছেন। এর আগের বছরের তুলনায় এই সংখ্যা প্রায় ১১ শতাংশ বেশি। পর্যবেক্ষকরা এই ধারাকে অভিনব অভিহিত করে বলেছেন, সাধারণত নির্বাচনের বছর নাগরিকত্বের আবেদনের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। নির্বাচনের পরবর্তী বছরে এই সংখ্যা হ্রাস পায়। পর্যবেক্ষণে দেখা যাচ্ছে, যেসব স্টেট বা শহরে মেক্সিকানদের বসবাস বেশি যেমন টেক্সাস, ক্যালিফোর্নিয়া, আরিজোনা, সেসব স্থান থেকেই নাগরিকত্বের আবেদন বেশি জমা পড়ছে। এই প্রক্রিয়ায় ব্যাপক জট ও দীর্ঘ বিলম্ব এইসব আবেদনকারীদের ভবিষ্যৎকে অনিশ্চিত করে তুলেছে।
এদিকে, গ্রীনকার্ডের আবেদন প্রক্রিয়ায়ও দীর্ঘসূত্রিতা দেখা দিয়েছে। বর্তমানে প্রায় সাড়ে ছয় লাখ গ্রীনকার্ড আবেদন জমা পড়ে আছে। এক থেকে তিন বছর পর্যন্ত সময় অপেক্ষার পরও অনেকে গ্রীনকার্ড পাচ্ছেন না। গ্রীনকার্ড ও সিটিজেনশীপ প্রক্রিয়ার এই দীর্ঘসূত্রিতা কবে শেষ হবেÑ ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়ার সাথে সংশ্লিষ্ট কারো কাছেই এর উত্তর নেই।
Posted ২:৩০ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ২৮ নভেম্বর ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta